Header Ads Widget

Responsive Advertisement

লা লিগা থেকে বাদ যাচ্ছে বার্সেলোনা

লা লিগা থেকে বাদ যাচ্ছে বার্সেলোনা
হেডলাইনটা পড়ে চমকে উঠেছিলেন নিশ্চয়। হ্যাঁ এটাই সত্যি। স্পানিশ লা লিগা থেকে বার্সেলনাকে বের করে দিতে পারে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মূলত স্পেন থেকে স্বাধীনতা চাইছে কাতালুনিয়া। আর কাতালুনিয়া স্বাধীন হলে লা লিগা থেকে বাদ পড়বে বার্সেলোনা এতে যোগ দিতে হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।
চলতি সপ্তাহেই আরেকবার স্বাধীনতার জন্য গণভোটের লাইনে দাঁড়াবেন স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশটির জনগণ। এতে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার দশা লা লিগা কর্তৃপক্ষেরও। গণভোটে কাতালানদের দাবি স্বাধীনতার পক্ষে গেলে এবং পরের প্রক্রিয়ায় প্রদেশটি স্পেন থেকে বিচ্ছিন্ন হলে যে স্প্যানিশ লিগ থেকে বার্সেলোনাকে বের করে দেওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না সংস্থাটির সামনে!
এক কাতালুনিয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ স্পেনের জন্য, তেমনি বার্সার মূল্যও লা লিগার কাছে আকাশছোঁয়া। গত মৌসুমে লিগ না জিতেও ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ক্লাবটির নাম বার্সেলোনা। ক্লাবটিতে খেলেন পাঁচবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের মত তারকারা। ফোর্বসের দাবি ক্লাবটির বাজার মূল্য বর্তমানে ৩.৬৪ বিলিয়ন ইউরো।
লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস অবশ্য হুমকি দিয়েই বসে আছেন, ‘কাতালুনিয়া স্বাধীন হয়ে গেলে আমরা বার্সেলোনাকে বের করে দিতে বাধ্য।’ একই পরিণতি হতে পারে লা লিগায় খেলা প্রদেশটির আরও দুই দল এস্পানিয়ল এবং জিরুনারও।
হুমকি-ধামকিতে আবার কাতালাদের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না। নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আরও বেশি করেই এককাট্টা হচ্ছে কাতালানবাসী। ন্যু ক্যাম্পেই একাধিকবার উড়েছে প্রদেশটির হলুদ পতাকা। মাঠটিকে বানানো হয়েছে কাতালানদের দাবি-দাওয়ার কেন্দ্রবিন্দু।
বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ অবশ্য এত খোলামেলা ভাবে তাদের মাঠ ব্যবহার না করতে জনগণদের অনুরোধ জানিয়েছে। তবে তলে তলে স্বাধীনতাবাদীদের উস্কে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ক্লাবটির বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে বার্সেলোনা কিংবা লা লিগার প্রধান কর্তা মুখ না খুললেও ক্লাবটির সহ-সভাপতি জর্ডি কারদোনার ভোটের পক্ষেই নিজের মত জানিয়েছেন, ‘আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন আসছে। যদিও আমাদের খেলার দিকেই মন দিতে হবে।’
ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিষয়টি। তারাও আপাতত মুখ খুলতে নারাজ। একজন মুখপাত্র জানিয়ে রেখেছেন, ‘এক্ষেত্রে একটাই নিয়ম, ভবিষ্যতে কী হবে সে বিষয়ে মুখ না খোলা।’

Post a Comment

0 Comments