বার্সেলোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল ‘আত্মঘাতীর’।
চলতি মৌসুমে বার্সার দুর্দান্ত ফর্মের দুই কারিগর লিওনেল মেসি ও আত্মঘাতী গোল। মেসি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চের খেতাবটা যাচ্ছে আত্মঘাতীর ঝুলিতে। প্রতিপক্ষের মাধ্যমে নিজেদের সংগ্রহে চারটি গোল এসেছে বার্সেলোনার। বুধবার রাতে যার সর্বশেষটির কল্যাণে স্পোর্টিং লিসবনের মাঠ থেকে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে ফিরেছে কাতালানরা।
এ যেন এক অচেনা বার্সা। পুরো মাঠে মেসির খেলা ছিল দুর্দান্ত। সারা মাঠ একাই খেলেছেন। অনেক পাস দিয়েছিলেন, কিন্তু টিমমেটরা ভালভাবে সেই সুযোগ কাহে লাগাতে পারেনি।
এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বার্সেলোনা। রাতের অন্য ম্যাচে অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে জুভেন্টাস। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে স্পোর্টিং।
বরাবরের মতই ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল নিয়ে খেলেছে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষ রক্ষণে ভীতি জাগানোর মত কোনও আক্রমণ তৈরি করতে পারছিল না। ২৮ মিনিটে সার্জিও রবের্তোর বাড়ানো বলে লুইস সুয়ারেজ স্বাগতিক গোলরক্ষক লুই প্যাট্রিসিও বরাবর শট নিলে সুযোগ হাতছাড়া হয়। দুই মিনিট পর সুয়ারেজের ক্রসে মেসির হেড আটকে যায় সেই গোলরক্ষকের দেয়ালেই।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৪৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বল সুয়ারেজের মাথা ছুঁয়ে গোলমুখ থেকে নিরাপদ দূরত্বেই সরে যাচ্ছিল, কিন্তু ডিফেন্ডার সেবাস্টিয়ানের শরীরে লেগে সেটি বাঁক বদলে নিজেদের জালে জড়িয়ে গেলে স্তম্ভিত হয়ে যায় স্বাগতিক স্পোর্টিং সমর্থকরা।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজের বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বসেছিলেন মেসি। সাবেক বার্সা-সতীর্থ জেরেমি ম্যাথিউয়ের দৃঢ়তায় সেদফা বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
পরে ৭১ মিনিটে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ব্রুনো ফার্নান্দেজের বুলেট শটে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালে বেঁচে যায় বার্সাও। ম্যাচের শেষদিকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ফেরাতেই মন দেয় আর্নেস্টো ভালভার্দের দল। সফলও হয়।
0 Comments