টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেইল ও আফ্রিদির যত রেকর্ড।
সবচেয়ে বেশি ছক্কা।
২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন ক্রিস গেইল। গত ১৬ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে অপরাজিত ১০০ রান করার পথে ১১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর মোট ছক্কা হয়ে গেছে ৬০টি। গেইলের পরেই আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। তার ছক্কা গেইলের প্রায় অর্ধেক, ৩১টি।
‘দ্রুততম’ আফ্রিদি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত ১২৫টি বল খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটে সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। ২০০৭ থেকে এ আসর (১৭.০৩.২০১৬) পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৩১টি ম্যাচ খেলে ৫০৫ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইকরেট ১৫৫ দশমিক ৮৬!
সবচেয়ে বেশি ফিফটি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফিফটি বা তার চেয়ে বড় ইনিংস খেলার রেকর্ডেও সবার ওপরে ক্রিস গেইল। তার পঞ্চাশ বা পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস আছে ন’টি। এমন সাতটি ইনিংস খেলে তাঁর পরেই আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে। যারা এখনো খেলছেন তাঁদের মধ্যে শুধু ভারতের রোহিত শর্মাই আছেন কাছাকাছি।
এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা।
এই রেকর্ডটিও ক্রিস গেইলের। রেকর্ডটি এ পর্যন্ত দু’বার নিজের নামে লিখিয়েছেন গেইল। ফলে প্রথম আর দ্বিতীয় স্থানে শুধু তারই নাম। ২০০৫ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৭ বলে ১১৭ রান করতে ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্যারিবীয় এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। গত ১৬ মার্চ ইংল্যান্ডকে উড়িয়েছেন ১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। ফলে ইলের আগের রেকর্ড গেইলের কাছেই ম্লান।
শহিদ আফ্রিদি ক্রিজে যতক্ষণ থাকেন, মাতিয়ে রাখেন সমর্থকদের। স্কোরবোর্ডে ওঠে ঝড়। তবে সমর্থকদের একেবারে উল্টো অভিজ্ঞতাও হয়। অনেক সময় এমনও হয়, আফ্রিদি ক্রিজে এলেন এবং গেলেন। তাঁর নামের পাশে তখনো শুন্য। টি-টিয়োন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শুন্যের রেকর্ডটিও কিন্তু আফ্রিদির। এ আসরে মোট পাঁচবার কোনো রান না করে আউট হয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানও এ দুর্ভাগ্য বরণ করেছেন পাঁচবার।
0 Comments