ফিফা ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশের আক্রমণভাগে প্রত্যাশা অনুযায়ী জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রবার্ট লেভানদোভস্কি। চমক ছিল গোলপোস্টে, বর্ষসেরা গোলকিপার হলেও একাদশে নাম লিখতে পারেননি বায়ার্ন মিউনিখের মানুয়েল নয়্যার।
বার্সেলোনা অধিনায়ক মেসি ন্যু ক্যাম্পে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ একটি মৌসুম পার করেছিলেন। তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো জুভেন্টাসকে টানা নবম সিরি ‘আ’ জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন। আর বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ জিতেছেন ঘরোয়া ট্রেবল।
তবে ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশের ঘোষণার শুরুতে ছিল চমক। নয়্যারকে পেছনে ফেলে এই দলে ঢোকেন লিভারপুলের এক নম্বর আলিসন। মার্সিসাইড ক্লাবকে ৩০ বছরে প্রথম লিগ শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ব্রাজিলিয়ান গোলকিপারের।
খেলোয়াড়দের ভোটে নির্বাচিত দলে আলিসনের সঙ্গে আছেন তার লিভারপুল সতীর্থ ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, ভার্জিল ফন ডাইক ও থিয়াগো আলকান্তারা। নয়্যার বাদ পড়লেও লেভানদোভস্কির সঙ্গে তার বায়ার্ন সতীর্থ আলফোন্সো ডেভিস ও জোশুয়া কিমিচ আছেন।
একাদশে অন্য দুটি জায়গা পূরণ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস ও ম্যানসিটি মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। রামোস গত মৌসুমে রিয়ালকে জেতান ৩৪তম লা লিগা শিরোপা আর ব্রুইনা টানা তৃতীয়বার কারাবাও কাপ জয়ীর পদক ঝুলিয়েছেন গলায়।
পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রিয়ায় রামোস বলেছেন, ‘অন্যতম চাবিকাঠি হলো জয়ের ক্ষুধা। কিছু জিততে থাকার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা। ফিফা ও ফিফপ্রোকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই এবং এই পুরস্কার করোনাভাইরাসের শিকার প্রত্যেককে উৎসর্গ করলাম। তাদের সবাইকে আমার শুভ কামনা। (আমি চাই) আমার বিশ্ব একাদশের সতীর্থদের অভিনন্দন এবং আমার রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন সতীর্থদের ধন্যবাদ।’
ফিফা ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশ: আলিসন; ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, সার্জিও রামোস, আলফোন্সো ডেভিস; জোশুয়া কিমিচ, কেভিন ডি ব্রুইনা, থিয়াগো আলকান্তারা; লিওনেল মেসি, রবার্ট লেভানদোভস্কি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
0 Comments