ইউরোপের ঘরোয়া ফুটবল লিগগুলোর মৌসুম শেষ হয়েছে এই সপ্তাহেই। আর সদ্য সমাপ্ত মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে লিওনেল মেসির। যদিও তার দল বার্সেলোনা মাত্র একটি শিরোপা জিতেছে, কিন্তু ব্যক্তিগত কীর্তিতে বাকি সবার চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
২০১৮/১৯ মৌসুমে লা লিগার শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে পিচিচি ট্রফি, ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন শু আর বার্সার জার্সি গায়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। এই সময়ে তিনি বার্সার জার্সি গায়ে ৫০ ম্যাচে ৫১ গোল করেছেন।
এই নিয়ে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো গোলের ফিফটি ছুঁয়েছেন মেসি। এই কীর্তি গড়ার পথে তার কথিত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাসের পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। দু’জনের নামের পাশেই এখন মৌসুম প্রতি গোলের ছয়টি ফিফটি রয়েছে।
মেসি এবং রোনালদো যথাক্রমে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের মালিক। লা লিগায় দু’জনের দীর্ঘ পরিক্রমায় প্রায় প্রতিবারই দু’জনের যেকোনো একজন মৌসুমের সেরা গোলদাতার পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু ঘরে তুলেছেন।
সেই ২০১১-১২ মৌসুমের পর এই প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার মিস করলেন রোনালদো। এবার ১২ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন মেসি।
৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাত্র ১টি মেজর ট্রফি জিতে মৌসুম শেষ করেছেন। যদিও পুরো মৌসুমে তার দল বার্সেলোনাই ছিল ট্রেবল জেতার অন্যতম দাবিদার। অন্যদিকে জুভেন্টাসের জার্সিতে অভিষেক মৌসুমে ঘরোয়া ডাবল জেতার স্বাদ পেয়েছেন রোনালদো।
২০১৭/১৮ মৌসুম বাদে বিগত নয় মৌসুমে হয় মেসি নয়ত রোনালদো সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব জিতেছেন। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ৬ মৌসুমে গোলের ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো।
চলতি মৌসুমে প্রতি ম্যাচে ১.০২ গড়ে ৫১ গোল করেছেন মেসি। তবে এর চেয়ে অনেক বেশি গোল করার কীর্তিও আছে তার দখলে। ২০১১/১২ মৌসুমে ৭৩ গোলের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছিলেন তিনি।
ইউরোপের ঘরোয়া লিগ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরছেন মেসি ও রোনালদো। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে উয়েফা ন্যাশন্স লিগ সেমিফাইনালের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেতৃত্বে থাকবেন পর্তুগিজ তারকা। আর ১৪ জুন থেকে ব্রাজিলে কোপা আমেরিকার লড়াইয়ে নামবেন মেসিরা।
0 Comments